পৃষ্ঠা

স্বাগতম। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও সহযোগিতা একান্ত কাম্য । আমাদের ব্লগে মতামত জানাতে মেল করুন "shikhyajagot@gmail.com" ঠিকানায় । ২৫/০৯/২০১৩, ধন্যবাদ

বিষয় খুজেতে এখানে লিখুন

Wednesday, October 23, 2013

টারডিগ্রেড - এক বিস্ময়কর জীব

টারডিগ্রেড একটি আণুবীক্ষণিক জলজ জীব ।  জলের বাইরে এরা দেহকে একটি শক্ত গোলাকার আকৃতির রূপ প্রদান করে যা তুন ( Tun ) নামে পরিচিত । Cryptobiosis পদ্ধতিতে এরা শুষ্ক পরিবেশে দীর্ঘ কাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে । এদের দেহ পাঁচটি খণ্ডে বিভক্ত , এবং আটটি পা ও সব পায়ে নখের মত অংশ রয়েছে । বিজ্ঞানী যোহান আগস্ট ইফ্রয়িম গোজ সর্বপ্রথম জার্মান ভাষায় এদের নাম রেখেছিলেন "Tardigrade kleiner Wasserbär" যার অর্থ - ছোট্ট জল ভাল্লুক । এখন পর্যন্ত প্রায় ১১৫০ ধরণের টারডিগ্রেট প্রজাতি খুজে পাওয়া গিয়েছে । প্রায় -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে ও এরা বেঁচে থাকতে পারে । ২০০৭ ও ২০১১ সালে এদেরকে মহাকাশে পরীক্ষামূলক ভাবে পাঠানো হয়। এরাই পৃথিবীর এক মাত্র জীব যারা মহাকাশে দীর্ঘদিন সময় কাটিয়ে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে এসেছে । আরও জানতে ক্লিক করুনঃ- http://en.wikipedia.org/wiki/Tardigrade ,

Monday, October 21, 2013

ভূ - সংবাদ - ২১/১০/২০১৩




Sunday, October 20, 2013

ভূ - সংবাদ - ২০/১০/২০১৩


গ্রীক বর্ণমালার বাংলা উচ্চারণ


Saturday, October 19, 2013

ভূ - সংবাদ - ১৯/১০/২০১৩

Tuesday, October 1, 2013

পৃথিবীর উৎপত্তি

পৃথিবী সৃষ্টির প্রকৃত কারন সম্পর্কে এখনও কোনো সর্বজন গ্রাহ্য মতবাদ নেই । তবে যে সব মতবাদ পৃথিবীর বেশিরভাগ বিজ্ঞানীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছিল সেগুলি যেমন - 

নীহারিকা মতবাদ / Nebular Hypothesis(Fig :- 

নীহারিকা বা Nebula(e.g. Helix Nebula-Fig) ,শব্দটি  ল্যাটিন ভাষা থেকে সৃষ্ট যার অর্থ কুয়াশা বা মেঘ । জ্যোতির্বিদ্যায় মহাকাশের উজ্জ্বল বস্তু সমূহের সমন্বয়ে গঠিত পুজ্ঞিভূত রুপকে বলা হয় নীহারিকা ।
এমানুয়েল স্বডেনবার্গ সুইডিশ বিজ্ঞানী এমানুয়েল স্বেডেনবার্গ ১৭৩৪ সালে তার "Principia - The First Principles of Natural Things" গ্রন্থের "Solar and Planetary Nebular Matter" প্রবন্ধে সৌরজগত সৃষ্টি রহস্যের কারন ব্যাখ্যা করতে সর্বপ্রথম এই তত্ত্বটির প্রকাশ করেন।  বিজ্ঞানী স্বেডেনবার্গ  ২৯শে জানুয়ারী, ১৬৮৮ সালে ষ্টকহোমে জন্মগ্রহন করেন । বহুল জনপ্রিয় এই নীহারিকা তত্ত্বটি বর্তমানে Solar Nebular Disk Model (SNDM) অথবা সরল ভাবে Solar Nebular Model নামেও খ্যাত।   


জর্জ ডি বুফন এর মতবাদঃ-  

জর্জ-লুই ল্যক্লের, কোঁত দ্য বুফোঁ ছিলেন একজন ফরাসি প্রকৃতিবিদ, গণিতজ্ঞ,জীববিজ্ঞানী, বিশ্বতত্ত্ববিদ । ১৭০৭ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণকারী এই বিজ্ঞানী  ১৭৭৮ সালে তাঁর “Les époques de la nature” গ্রন্থে সৌর জগত তথা পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে মতবাদ প্রকাশ করেন । তাঁর মতে অতীতের কোন এক সময় বিশালাকার এক ধূমকেতু সূর্যের কাছাকাছি আসায় সূর্য থেকে কিছু অংশ খুলে যায় , কিন্তু ধূমকেতুটি দ্রুত বেগে অন্যত্র চলে যাওয়ায় সূর্য থেকে খুলে যাওয়া অংশ গুলি পরবর্তী
কালে সূর্যের চারপাশেই ঘুরতে শুরু করে এবং সে গুলিই ধীরে ধীরে নানা গ্রহ উপগ্রহে পরিণত হয় ।  অর্থাৎ গ্রহ উপগ্রহ গুলি সূর্যের উপাদান দিয়েই তৈরি । বিজ্ঞানী বুফন / বুফোঁ পরীক্ষাগারে লোহার শীতলতার হার পরীক্ষা করে নির্ণয় করেন পৃথিবীর বয়স প্রায় ৭৫০০০ বছর এবং এটি প্রায় ৪০০৪ বি সি পূর্বে সৃষ্ট । কিছু কিছু বিজ্ঞানী বুফেনের মতবাদকে গুরুত্ব দিলেও এটি সর্বজনগ্রাহ্য হয়নি । তবে তাঁর মতবাদের সূত্র ধরেই পরবর্তী কালে বিজ্ঞানী চেম্বারলিন ও মুল্টনের গ্রহকনিকা মতবাদ বা আপাত সংঘর্ষ সুত্রের জন্ম হয় ।    




Friday, September 27, 2013

পশ্চিমবঙ্গের জনগণনা , ২০১১




ভারতের জনগণনার ভিত্তিতে কয়েকটি তথ্যঃ

                     
                                                      

    পশ্চিমবঙ্গ , ২০১১

আয়তনঃ ৮৮৭৫২ বর্গ কিমি
জন ঘনত্বঃ ১০২৯ জন/প্রতি বর্গ কিমি
লিঙ্গ অনুপাতঃ ৯৪৭ জন নারী/ প্রতি ১০০০ জন পুরুষে
শিক্ষার হারঃ ৭৭.০৮ %
                     নারীঃ ৮২.৬৭ %
                    পুরুষঃ ৭১.১৬ %
২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ ১৩.৯৩ %

Thursday, September 26, 2013

দ্রাঘিমার সাহায্যে সময় নির্ণয়

দ্রাঘিমার সাহায্যে সময় নির্ণয়ের পূর্বে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা রাখা প্রয়োজন । এগুলি হলঃ- ১) পৃথিবী সূর্যের সন্মুখে নিজ মেরুদন্ডের উপর পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে চলেছে ।
২) কাল্পনিক দ্রাঘিমারেখা গুলি অর্ধ বৃত্ত রূপে পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত অবস্থিত আর কাল্পনিক অক্ষরেখা গুলি পূর্ণ বৃত্ত রূপে পূর্ব পশ্চিমে অবস্থিত,  তাই একই দ্রাঘিমায় অবস্থিত সকল স্থানের স্থানীয় সময় একই হয় কিন্তু একই অক্ষরেখায় অবস্থিত সকল স্থানের স্থানীয় সময় ভিন্ন হয় । এই কারনেই কোনো স্থানের দ্রাঘিমা রেখার সাথে সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে সেই স্থানের সময় নির্ণয় করা হয় ।
৩) শূন্য ও একশ আশি ড্রিগ্রি দ্রাঘিমার সাহায্যে পৃথিবীকে দুটি গোলার্ধে ভাগ করা হয় । পূর্ব গোলার্ধ ও পশ্চিম গোলার্ধ ।
৪) পৃথিবীর কোনও একটি নির্দিষ্ট স্থানের পূর্ণ বৃত্তীয় অবস্থানে সূর্যের সন্মুখ থেকে পুনরায় ওই স্থানের আসতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা বা এক দিন ।

Wednesday, September 25, 2013

ভূগোল কি ?

সংজ্ঞাঃ-
"ভূ" শব্দটির অর্থ পৃথিবী আর "গোল" শব্দটির অর্থ গোলাকার , অর্থাৎ সাধারন অর্থে গোলাকার পৃথিবীর বর্ণনাই হল "ভূগোল"  , অর্থাৎ পৃথিবীর পাহাড়, পর্বত, নদ, নদী, সাগর, মহাসাগর , মালভূমি, সমভূমি , বিভিন্ন দেশ  প্রভৃতি নিয়ে আলোচনাই হল ভূগোল । তবে ব্যাপক অর্থে  ভূগোলের আলোচ্য বিষয়ের পরিধি পৃথিবী কে ছাড়িয়ে বিশ্ব ব্রম্নান্ডের শেষ জানা সীমা পর্যন্ত অবস্থিত । প্রাচীন গ্রীক ভূগোল বিদ এরাটোস্থেনিস সর্ব প্রথম এই "ভূগোল" শব্দটি ব্যবহার করেন ।