পৃষ্ঠা

স্বাগতম। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও সহযোগিতা একান্ত কাম্য । আমাদের ব্লগে মতামত জানাতে মেল করুন "shikhyajagot@gmail.com" ঠিকানায় । ২৫/০৯/২০১৩, ধন্যবাদ

বিষয় খুজেতে এখানে লিখুন

Monday, July 3, 2023

ভূগোলের সংজ্ঞা দাও?

ভূগোলঃ- ভূগোলের ইংরেজি প্রতিশব্দ Geography শব্দটি গ্রীক ভাষার "Geographia" থেকে এসেছে। এক্ষেত্রে 'Geo' শব্দের অর্থ পৃথিবী এবং 'Graphy' শব্দের অর্থ বর্ণনা। গ্রিক পন্ডিত এরাটস্থেনিস সর্বপ্রথম এই Geographia শব্দটি ব্যবহার করেন। প্রাচীন ভারতে ভূগোল শব্দটি প্রথম ব্যবহার হয় আর্যভট্টের 'সূর্য সিদ্ধান্ত' গ্রন্থে। মানুষের বাসস্থান হিসেবে পৃথিবীর বিবরণ বা বর্ণনাকে বলা হয় ভূগোল।

সংজ্ঞাঃ - বিভিন্ন ভৌগোলিকদের মতে ভূগোলের সংজ্ঞাগুলো যেমন -

আলেকজান্ডার ভন হামবোল্টঃ- ভৌগলিক আলেকজান্ডার ভন হামবোল্টের 'Kosmos' গ্রন্থ অনুসারে - ভূগোল হল প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত বিজ্ঞান যেখানে পৃথিবীতে লক্ষ্য করা যায় এমন সব বস্তু সম্পর্কে চর্চা ও বর্ণনা করা।

রিটারঃ- ভৌগোলক রিটারের মতে ভূগোল হল বিজ্ঞানের সেই শাখা যা সমস্ত পৃথিবীর বিষয়, বৈশিষ্ট্য ও সম্পর্ককে একটি স্বাধীন একক হিসেবে দেখে।

ম্যাকিন্ডারঃ- ম্যাকিন্ডারের মতে - ভূগোল এমন একটি শাস্ত্র যার প্রধান আলোচ্য বিষয় হল সমাজবদ্ধ মানুষ এবং পরিবেশের স্থানীয় পরিবর্তনশীলতা ।

পিটার হ্যাগেটঃ-  ভৌগোলিক পিটার হ্যাগেটের মতে - ভূপৃষ্ঠকে মানব গোষ্ঠীর বসবাসের দেশ হিসেবে যে শাস্ত্র পর্যালোচনা করে তাকে ভূগোল বলে। 

স্ট্র্যাবোঃ- ভৌগোলিক স্ট্র্যাবোর "Geographica" গ্রন্থ অনুসারে - ভূগোল পৃথিবীর জলভাগ ও স্থলভাগের জীব সম্পর্কে জ্ঞান দান করে ও পৃথিবীর আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে ব্যাখ্যা করে।

টলেমিঃ- টলেমির মতে - ভূগোলের উদ্দেশ্য হল অঞ্চলের অবস্থান মানচিত্রকরণের মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীর চিত্র প্রদান।

ভূগোলের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা কর।

ভূগোলের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যঃ


Monday, May 6, 2019

গ্রীক দার্শনিক অ্যানাক্সিম্যান্ডার


Anaximander / অ্যানাক্সিম্যান্ডার  ছিলেন গ্রীক দার্শনিক থেলিসের যোগ্য উত্তরসূরী। তিনি দর্শিনিক থেলিসের প্রতিষ্ঠিত মাইলেসিয়ান স্কুলে দর্শন , জ্যামিতি , জ্যোতির্বিদ্যা প্রভৃতি নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। এবং পরবর্তী কালে তিনি ওই স্কুলে থেলিসের পরবর্তী শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এরা দুজনেই ছিলেন গাণিতিক ভূগোলের প্রতিষ্ঠাতা ।
পিতা – মাতা এবং শিক্ষকঃ- দার্শনিক অ্যানাক্সিম্যান্ডারের পিতার নাম – প্রাক্সিয়াডেস । মাতার নাম – এখানে ব্যবহৃত কোন তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়নি । শিক্ষকের নাম – থেলিস ।
জন্ম-মৃত্যুঃ- অ্যানাক্সিম্যান্ডার ৬১০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসের মিলিটাসে জন্মগ্রহন করেন এবং ৫৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মিলিটাসেই মারা যান ।
শিক্ষা/জ্ঞানঃ- দার্শনিক অ্যানাক্সিম্যান্ডার দর্শনশাস্ত্র সহ গণিত, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোল প্রভৃতি নানা বিষয়ে জ্ঞানী ছিলেন

পেশাঃ-
   অ্যানাক্সিম্যান্ডারের পরবর্তী কালের প্রায় সকল দার্শনিকদের মতে তিনি ছিলেন মাইলেসিয়ান স্কুলের শিক্ষক ।
            আবার, অনেকের মতে তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ । মনে করা হয় তিনি, তদকালীন অ্যাপোলোনিয়া অঞ্চলে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা এবং পরবর্তীকালে সেখানকার অতিরিক্ত জন্মহার নিয়ন্ত্রন করতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহন করেছিলেন ।
ছাত্র-ছাত্রীঃ- অ্যানাক্সিম্যান্ডারের বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে অন্যতম ছিলেন – অ্যানাক্সিমেন্স এবং পিথাগোরাস

দার্শনিক গ্রন্থঃ- অ্যানাক্সিম্যান্ডারের পরবর্তী কালের দার্শনিকদের বিবরণী থেকে জানা যায় , তিনি ছিলেন প্রথম দার্শনিক যে কিনা নিজের দার্শনিক চিন্তা-ভাবনা গুলি “ON NATURE” নামক গ্রন্থে কবিতার আকারে লিপিবদ্ধ করেছিলেন । তবে বইটির কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি । দার্শনিক এরিস্টটল তাঁর Physics” বইয়ে অ্যানাক্সিম্যান্ডারের লিখিত বইটির কিছু অংশের উল্লেখ করেছেন । অনেকে মনে করেন লাইসিয়াম এবং তাওরমিনা লাইব্রেরীতে অ্যানাক্সিম্যান্ডারের লিখিত বইটি হয়তো রাখা ছিল ।    
ধারনা / অবদানসমূহঃ-
১) জড়বাদী এককবাদ – দার্শনিক থেলিসের মতো অ্যানাক্সিম্যান্ডারের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল জড়বাদী এককবাদ এবং তাঁর যুক্তি প্রদর্শনের পদ্ধতিকে দর্শনশাস্ত্রে বলা হয় বুদ্ধিগত জ্ঞান ।

২) এপিরন – অ্যানাক্সিম্যান্ডার তাঁর শিক্ষক থেলিসের মতো করে জলকে মহাবিশ্বের আদিতম বস্তু হিসাবে মনে করেননি । তাঁর মতে জল, বায়ু, মাটি, আগুন প্রভৃতি সকল কিছুই সীমিত , নির্দিষ্ট এবং পরিবর্তনশীল , তাই এগুলি মহাবিশ্বের আদি বস্তু হতে পারে না । তিনি মনে করেন সীমাহীন (Boundless),  অনির্দিষ্ট (Indefinite), চিরন্তন (Eternal) এবং যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় শুধু ধারনা বা বুদ্ধির দ্বারা উপলব্ধি করা যায় এমন বিষয় বা এপিরন (Apeiron) হল মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদি কারন ।

৩) পৃথিবীর মানচিত্র – তিনি সর্বপ্রথম কিছুটা স্কেল অনুসরন করে তদকালীন চেনা পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করেছিলেন । তাঁর অঙ্কিত মানচিত্রটি ইউরোপ, লিবিয়া ( অর্থাৎ আফ্রিকা) এবং এশিয়া এই তিনটি অংশে বিভিক্ত ছিল , যার মাঝখানে ছিল গ্রীস এবং চারপাশে ছিল সমুদ্র । পরবর্তীকালে ঐ মানচিত্রটি আর পাওয়া যায়নি বলে ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের বর্ণনা অনুযায়ী দার্শনিক হেকাটিয়াসের অঙ্কিত মানচিত্রের উপর ভিত্তি করে অ্যানাক্সিম্যান্ডারের অঙ্কিত মানচিত্রের কাল্পনিক রূপ দেওয়া হয়েছে ।
৪) পৃথিবীর আকৃতি – তাঁর মতে পৃথিবীর আকৃতি গোল বা চাকতির মতো নয় , এটি দেখতে অনেকটা নল বা বেলনের মতো ।  
৫) পৃথিবী কেন্দ্রিক মহাবিশ্ব – পৃথিবী কেন্দ্রিক মহাবিশ্বের প্রথম মানচিত্র অঙ্কন করেন অ্যানাক্সিম্যান্ডার । তাঁর মতে পৃথিবী , মহাবিশ্বের কেন্দ্রে ভাসমান অবস্থায় আছে এবং একে ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্বে অন্যান্য ‘তারকা’ , ‘চাঁদ’ এবং সব থেকে দূরে পৃথিবীর থেকে ২৯ গুন বড় ‘সূর্য’ অবস্থান করছে । 
৬) একাধিক বিশ্ব অনেকের মতে, অ্যানাক্সিম্যান্ডারের ধারনা ছিল বর্তমান মনুষ্য বসতিযুক্ত বিশ্বের পূর্বে মনুষ্য হীন অন্য বিশ্ব ছিল এবং বর্তমান বিশ্বের পরবর্তী কালেও অন্য আর একটি বিশ্ব থাকবে ।
৭) মহাবিশ্ব সৃষ্টি রহস্য – মহাবিশ্ব সৃষ্টি রহস্যের কারন ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে অ্যানাক্সিম্যান্ডারই প্রথম কোনো ঐশ্বরিক কারনের কথা না বলে অন্য কোন প্রাকৃতিক কারনের কথা বলেছিলেন । তাই অনেকের মতে তিনি ছিলেন মহাবিশ্ব বিদ্যার জনক । তিনি মনে করতেন সীমাহীন ক্ষেত্র বা এপিরনে উষ্ণতা ও শীতলতার পার্থক্যে পৃথিবী এবং একে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া আগুনের বিভিন্ন রিং গুলিতে যথাক্রমে অন্যান্য তারকা , চাঁদ এবং সূর্যের সৃষ্টি হয়েছে । তাঁর মতে আদিতে বিশ্ব ছিল বাষ্পময় , এই বাষ্প ঘনীভূত হয়ে সমুদ্র , শুষ্ক হয়ে ভূমি এবং অবশিষ্টাংশ বায়ুমণ্ডলে পরিণত হয়েছে ।     
৮) বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ সৃষ্টির কারন – তাঁর মতে বায়ুর সাথে বায়ুর সংঘর্ষের ফলে বিদ্যুৎ ঝলকানি এবং মেঘের সাথে মেঘের সংঘর্ষের ফলে বজ্রপাতের সৃষ্টি হয় ।
৯) বৃষ্টিপাত সৃষ্টির কারন তিনি মনে করতেন জল বাষ্পীভূত হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির সৃষ্টি হয় ।
১০) ভূমিকম্পের কারন – অ্যানাক্সিম্যান্ডারের মতে ভয়ঙ্কর বায়ুপ্রবাহের কারনে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয় ।
১১) নোমোন  তিনিই প্রথম ব্যাবিলনীয় দের আবিষ্কৃত তারাদের আপেক্ষিক অবস্থান ও সময় নির্ধারক যন্ত্র নোমোন কে “Gnomon”  কে মিলিটাসে নিয়ে এসেছিলেন ।

১২) বিবর্তনবাদ অ্যানাক্সিম্যান্ডার ছিলেন প্রাচীন গ্রীসের একজন বিবর্তনবাদী । তাঁর মতে জলেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর প্রথম প্রান । সূর্যের তাপে জলভাগ শুকিয়ে যাওয়ার সময় সেগুলি স্থলভাগে চলে আসে এবং ধীরে ধীরে তাদের শরীরে স্থলভাগে চলাচল করার জন্য উপযুক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উৎপত্তি হয়েছে । তিনি মনে করতেন মাছ জাতীয় প্রাণী বিবর্তিত হয়ে মানুষের রূপ ধারন করেছে । 

>>>> এই বিষয়ে ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।  <<<<

তথ্যসূত্র ঃ- 

1) ভূগোল দর্শন ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা- ডঃ ক. মিত্র , ডঃ জে. সেন, ডঃ পূ, সেনগুপ্ত

2) ভূগোলদর্শন – জে. মুখোপাধ্যায়
3) ভূগোল চিন্তার বিকাশ – ক. লাহিড়ী দত্ত ।
4) Evolution of Geographical Thought - Majid Husain , 2004, Page No.- 33 - 34
5) https://roar.media/bangla/main/biography/the-first-astronomer-of-the-world-who-
float-the-world-from-the-back-of-tortoise/
6) https://www.somewhereinblog.net/blog/nillkosto420/30073513
7) http://www.thebdsf.com/
8) http://itibritto.com/greek-philosophers-1/
9) http://www.roddure.com/biography/anaximander/
10) https://en.wikipedia.org/wiki/Anaximander
11) https://www.famousscientists.org/anaximander/
12) https://www.philosophybasics.com/philosophers_anaximander.html
13) http://www.informationphilosopher.com/solutions/philosophers/anaximander/
14) http://www.philosophy.gr/presocratics/anaximander.htm
15) https://abagond.wordpress.com/2015/04/06/anaximander/
16) https://kosmossociety.chs.harvard.edu/?p=34798
17) https://www.iep.utm.edu/anaximan/
18) International Journal of Philosophy, 2013; ”Thales, Anaximander and Anaximenes as pathfinders ofmodern science” - Gabriel Ema Idang,  1(4): 57-65,
19) "The Notion of Cause in Anaximander", Thesis for the degree of Master in Philosophy - Atle Sperre Hermansen, University of Oslo, May 2005
20) "EARLY GREEK PHILOSOPHY" - JOHN BURNET , Page No.- 27 - 37
21) "THE FIRST SCIENTIST ANAXIMANDER AND HIS LEGACY" - CARLO ROVELLI, Translated by Marion Lignana Rosenberg, 2011.
22) Duquesne University, Duquesne Scholarship Collection, Electronic Theses and Dissertations, Fall 1-1-2016, "Early Greek Philosophy and the Discovery of Nature" - Justin Habash, December 2016
23) "Theology as the limit of science: Anaximander’s discovery of metaphysics and the Milesian concept of divinity"
by Kosta Gligorijevic, A Thesis presented to The University of Guelph, Guelph, Ontario, Canada, August, 2013
24) https://www.phas.ubc.ca/~stamp/TEACHING/PHYS340/NOTES/FILES/
Pre-Socratics05.pdf
25) https://history-biography.com/anaximander/
26) https://www.globalsecurity.org
27) https://sitejerk.com
28) www.google.com
 ----------------- x -----------------

Monday, October 8, 2018

লাতিন আমেরিকা

#পরিচয় - 
              উত্তর , মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের রোমানীয় ভাষা মূলত স্পেনীয়, ফরাসী ও পর্তুগিজ ভাষা সমৃদ্ধ দেশ গুলি একত্রে লাতিন আমেরিকা নামে পরিচিত ।

#দেশ সমূহ - 
                উত্তর আমেরিকার ১ টি দেশ - মেক্সিকো
                ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ৩টি দেশ - কিউবা, হাইতি, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র
                মধ্য আমেরিকার ৬টি দেশ - পানামা, এল সালভাদর, গুয়েতেমালা, হুন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং কোস্টারিকা
          দক্ষিণ আমেরিকার ১০টি দেশ - আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, প্যারাগুয়ে, পেরু, উরুগুয়ে এবং ভেনেজুয়েলা

# শব্দটির প্রথম ব্যবহার - 
                                   চিলির রাজনীতিবিদ ফ্রান্সিসকো বিলবাও ১৮৫৬ সালে "Initiative of the America. Idea for a Federal Congress of Republics" শীর্ষক সম্মেলনে "Latin America" শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ।
# গুরুত্বপূর্ণ শহর সমূহ - 
                                    মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি, কারাকাস, গুয়াদালাহারা , ব্রাজিলের সাঁউ পাউলু , বেলো হরিজন্তে, রিয়ো দি জানেইরু, আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেস, পেরুর লিমা, কলম্বিয়ার বোগোতা, চিলির সান্তিয়াগো প্রভৃতি ।